লালমনিরহাট প্রতিনিধি।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গোপনে বিক্রির উদ্দেশ্যে (ভিডব্লিউবি) পাঁচ বস্তা চাল ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা আটকে দেয়।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে (ভিডব্লিউবি) ৫ বস্তা চাল ভ্যানে করে বিক্রির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার ১২ নং ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের হতদরিদ্র ভুক্তভোগী ১৮৫ জন শিশুর পরিবার প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পেয়ে থাকেন। গত বৃহস্পতিবার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে ১৮৫ জন শিশুর পরিবার ৩০কেজি চাল পান। চাল বিতরণের শেষ হলেও ইউনিয়ন পরিষদে কিছু চালের বস্তা পড়ে থেকে। আজ শনিবার(২৩ সেপ্টেম্বর)সকালের সে চাল ভ্যানযোগে অন্য এক জায়গায় যাওয়ার সময় স্থানীয়তা আটকে দেয়। পরে ওই ভ্যানচালক ভুক্তভোগী চাল এক ইউপি চৌকিদার আমিনুর রহমানে কাছে বিক্রি হয়েছে বলে জানান। পরে স্থানীয়রা চালের ভ্যানটি ছেড়ে দেয়। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে ২৫০ কেজি চাউল রয়েছে।
এদিকে চালের ঘটনাটি প্রকাশ করলে চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ বসুর জামান সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে ও ফেসবুক এ অশ্লীল মন্তব্য করেন।
স্থানীয় পশ্চিম ফকিরপাড়া গ্রামের বিলাস হোসেন বলেন,গত বৃহস্পতিবার চাউল দিয়েছে আজ কেন ভ্যানচালক পাঁচ বস্তা চাল নিয়ে যাবে।এতে আমাদের সন্দেহ হয় তারা চাল চুরি করে বিক্রি করছে।
ভ্যানচালক সলিমুদ্দিন বলেন,আমাকে চাল নিয়ে যাওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ডেকেছেন তাই ৫ বস্তা চাউল নিয়ে পরিষদের গ্রাম পুলিশ আমিনুরের কাছে নিয়ে যাচ্ছি।
ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আমিনুর রহমান বলেন,আমি চাউল কিনি নাই ওই ভ্যানচালক আমার কার্ডের এক বস্তা চাউল দিয়ে গেছে। বাকি বস্তাগুলো অন্য ওয়ার্ড চৌকিদারের।
১২নং ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কে চাউল দিয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই আমি ইউনিয়ন পরিষদে যাচ্ছি। এভাবে চাউল নিয়ে যাওয়ার কোন বিধান নেই।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেনে ব্যবহারিত মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।